Jina Karir Shasti (ইসলামে জিনার শাস্তি) Nari-Purush | Towba Korar Opay Allah Maf korben

Bibahitoder jina Korar Shasti (ইসলামে বিবাহিতদের জিনার শাস্তি) Nari-Purush | Towba Korar Opay Allah Maf korben?

Jina Karir Shasti (ইসলামে জিনার শাস্তি) Nari-Purush | Towba Korar Opay Allah Maf korben
Jina Karir Shasti (ইসলামে জিনার শাস্তি) Nari-Purush | Towba Korar Opay Allah Maf korben

জিনাহ ব্যবিচার একটি মারাত্মক গুনাহ!
ইসলামে জিনায় লিপ্ত থাকা ব্যক্তিদের কঠিন শাস্তি পেতে হবে!
বিবাহিত নারী অথবা পুরুষ যদি পরকিয়ায় বা জিনায় লিপ্ত হয়!
উক্ত ব্যাক্তির দুনিয়ায় শাস্তির বিধান, ইসলামের আইন অনুসারে পাথর নিক্ষেপ করে মৃত্যুদন্ড।
আমাদের প্রিয় নবি মুহাম্মদ (সা.) এই ভাবেই জিনার বিচার করতেন।
এটা আল্লাহ তালার দেওয়া বিধান।

তবে যেই সমাজে এই বিধান বর্তমানে নেই।
যেই সকলদের মনে প্রস্ন থেকে যায়!

আল্লাহ তালা এতোটাই মহান যে, তিনি মুসলমানদের জন্য তওবা করার দরজা খুলা রেখেছেন।
খারাপ কোনো কাজ প্রকাশ না করে গুপনে কাজটি ছেরে দিয়ে আল্লাহর কাছে মাফ চাইলে তিনি মাফ করতে পারেন।
তবে মন থেকে তওবা করে ইসলামের সকল কাজ মেনে সব সময় অনুতপ্ত থাকতে হবে। শুধু আল্লাহকে ভয় করে কাদতে হবে।

আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে, প্রিয় নবির কাজ অনুসরণ করতে পারলে আল্লাহ মাফ করবেন, নবির সকল কাজ বা সুন্নত অনুসরণ করায় তিনি আপনার জন্য শাফায়াত করবেন।

পরম করুনাময় আল্লাহ তায়ালা কখনো চান না খারাপ কাজ প্রকাশ পাক।

তবে আপনি গুপনে জিনা করে মরে গেলে জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তির সম্মুখিন হবেন।

আল্লাহ তাআলার এই বাণীটি অধ্যয়ন করুন 

“বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”
[সূরা যুমার, আয়াত: ৫৩]

তওবা করার পর আবার খারাপ পথে গেলে আপনি আল্লহর রহমত পাবেন না!
তাই তওবা করে ভালো পথে ফিরে আসতে হবে।

Obibahito der Jina Korar Shasti (ইসলামে  অবিবাহিত জিনার শাস্তি) Nari-Purush obibahito | Towba Korar Opay Allah Maf korben?


অন্য দিকে অবিবাহিত নারী পুরুষ এর ক্ষেত্রে জিনা করলে দুনিয়ায় শাস্তির বিধান ইসলামের আইন অনুসারে ১০০ টা বেত আঘাত!
এখানে কোনো দয়া দেখানো যাবে না!

জিনা ছেরে দিয়ে মন থেকে আল্লাহর কাছে মাফ না নিতে পারলে আখিরাতের ভয়াবহ শাস্তির পেতে হবে।

তবে আল্লহর কাছে মুসলিমদের তওবার দরজা খুলা!
তাই জিনা ছেড়ে দিয়ে তওবা করে ইসলামের পথে ফিরে আসুন!

মনে করবেন না আপনার পাপ আল্লাহ মাফ করবে না মনে রাখবেন আল্লাহ মহান এবং অতি দায়ালু।।

অপর দিকে পাপি বান্দা যাদের তওবা করার নসিব হয়না তাদের জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী শাস্তি।
তাই ফিরে আসুন আল্লাহ তালা এবং নবি রাসুলের দেওয়া বিধানে! ইসলামের আইন অনুসারে জিবন যাপন করে অনুতপ্ত থাকুন যেনো আল্লাহ মাফ করে।।
তবেই মাফ পাবেন।
আল্লাহ হাফেজ ।

অন্যান্য মন্তব্যঃ- সর্বোত্তম উত্তর
জিনা বা ব্যভীচারের শাস্তি অত্যন্ত ভয়াবহ।

ব্যভীচার সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। এটা অশ্লীল কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ”। (সূরা বনী ইসরাঈল -৩২) “আর যারা আল্লাহ ব্যতীত অপর কোন ইলাহের ইবাদত করে না, আল্লাহর নিষিদ্ধকৃত প্রাণী যথার্থ কারণ ব্যতীত হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। আর যে ব্যক্তি এসব কাজ করে, সে শাস্তি ভোগ করবে।

 কিয়ামতের দিন তার শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে এবং সেখানে সে হীন অবস্থায় চিরস্থায়ী হবে। তবে তারা নয়- যারা তাওবা করে এবং সৎ কাজ করে, আল্লাহ তাদের মন্দ কাজগুলো ভাল কর্ম দিয়ে পরিবর্তন করে দেন, আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াশীল”। (সূরা আল-ফুরকান ৬৮-৬৯) “ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী উভয়কে এক’শ ঘা করে বেত্রাঘাত কর।

আল্লাহর বিধান কার্যকরী করবে এদের প্রতি দয়া যেন তোমাদের অভিভূত না করে। যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী হয়ে থাক। ঈমানদারদের একটি দল যেন এদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে”। (সূরা আন নূর ২)

আলেমগণ বলেছেন, এটাই হচ্ছে অবিবাহিত পুরুষ-মহিলার ব্যভিচারের ইহকালীন শাস্তি। যদি তারা বিবাহিত হয় বা জীবনে একবার হলেও বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল এমন হয়ে থাকে, তাহলে তাদেরকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করতে হবে। এটা হাদীসের নির্দেশনা ।

 এ মৃত্যুদণ্ডেও যদি তাদের পাপের পূর্ণ প্রায়শ্চিত্ত না হয় এবং তারা উভয়েই তওবা না করে মারা যায় তাহলে তাদেরকে জাহান্নামের আগুনে পোড়ানো লৌহদণ্ড দিয়ে শাস্তি দেয়া হবে। যবূর কিতাবে বর্ণিত আছে, “ব্যভিচারী নারী-পুরুষের লিংগ রশি দ্বারা বেঁধে জাহান্নামের আগুনে ঝুলানো হবে এবং লোহার ডান্ডা দিয়ে তাদের জননেন্দ্রিয়ে আঘাত করা হবে।

 আঘাতের যন্ত্রণায় যখন চিৎকার করবে, তখন জাহান্নামের ফেরেশতারা বলবে; পৃথিবীতে যখন তোমরা আনন্দ ফুর্তি করতে, হাসতে এবং আল্লাহর কথা স্মরণ করতে না এবং তাঁকে লজ্জা পেতে না, তখন এ চিৎকার কোথায় ছিল”?

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন; “কোন ব্যভিচার ব্যভিচারের সময়ে মুমিন অবস্থায় ব্যভিচার করে না।

 কোন চোর চুরির সময় মুমিন অবস্থায় চুরি করে না। কোন মদখোর মদ খাওয়ার সময় মুমিন অবস্থায় মদ পান করে না, কোন লুন্ঠনকারী লুন্ঠন করার সময় মুমিন অবস্থায় লুন্ঠন করে না”। [বুখারি,মুসলিম ও আবু দাউদ]

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “কোন ব্যক্তি যখন ব্যভিচার করে তখন তার ভেতর থেকে ঈমান বেরিয়ে যায়, এরপর তা তার মাথার উপর ছায়ার মত অবস্থান করতে থাকে।

এরপর সে যখন তা থেকে তওবা করে তখন তার ঈমান পুনরায় তার কাছে ফিরে আসে”। [আবু দাউদ] হযরত আবু হুরায়রা বর্ণিত অন্য এক হাদীসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “যে ব্যক্তি ব্যভিচার করে অথবা মদ পান করে, আল্লাহ তার কাছ থেকে ঈমান ঠিক এমনভাবে কেড়ে নেন, যেমন কোন মানুষ তার মাথার উপর দিয়ে জামা খুলে থাকে”।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তিন ব্যক্তির সাথে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না, তাদেরকে পবিত্রও করবেন না এবং তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক কঠোর শাস্তি নির্ধারিত থাকবে।

তারা হচ্ছে বৃদ্ধ ব্যভিচারী, মিথ্যাবাদী শাসক এবং অহংকারী গরীব”। [মুসলিম ও নাসায়ী] হযরত ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বড় পাপ কি? তিনি বললেন, আল্লাহর সমকক্ষ কাউকে নির্ধারণ করা। আমি বললাম, এটা নিশ্চয়ই জঘন্যতম গুনাহ। তারপর কি?

 তিনি বললেন; তোমার সন্তান তোমার সাথে আহারে বিহারে অংশ নিবে এ আশংকায় সন্তানকে হত্যা করা। আমি বললাম, এরপর কি? তিনি বললেন, তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া।

 [বুখারি ও মুসলিম] বুখারি শরীফে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্বপ্নের বিবরণ সম্বলিত যে হাদীসটি হযরত সামুরা বিন জুনদুব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে উল্লেখ রয়েছে এতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন; “জিবরাঈল ও মীকাঈল (আলাইহি সালাম) তাঁর কাছে এলেন এবং আমি তাঁদের সাথে পথ চলতে শুরু করলাম। এক পর্যায়ে আমরা বড় একটা চুল্লির কাছে এসে পৌঁছলাম।

সে চুল্লির উপরি অংশ সংকীর্ণ ও নিম্নভাগ প্রশস্ত। ভেতরে বিরাট চিৎকারও শোনা যাচ্ছিল। আমরা চুল্লিটার ভেতরে দেখতে পেলাম উলংগ নারী ও পুরুষদেরকে। তাদের নিচ থেকে কিছুক্ষণ পর পর এক একটা আগুনের হলকা আসছিল আর তার সাথে সাথে আগুনের তীব্র দহনে তারা প্রচন্ডভাবে চিৎকার করছিল।

আমি জিজ্ঞেস করলাম; হে জিবরাঈল! এরা কারা ? তখন তিনি বললেনঃ এরা ব্যভিচারী নারী ও পুরুষ”। মহান আল্লাহর বাণী; “জাহান্নামের সাতটি দরজা থাকবে”- এ আয়াতের তাফসীরে হযরত আতা (রহ) বলেন, “ এ সাতটি দরজার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত, সবচেয়ে বেশি দুঃখ জিনার, সুদখোর দের।

👉 ব্যভিচারের প্রচার-প্রসার কিয়ামতের অন্যতম আলামত।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
‘‘কিয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে: ’ইল্ম উঠিয়ে নেয়া হবে, মূর্খতা ছেয়ে যাবে, (প্রকাশ্যে) মদ্য পান করা হবে এবং প্রকাশ্যে ব্যভিচার সংঘটিত হবে’’। (বুখারী ৮০; মুসলিম ২৬৭১)

আব্দুল্লাহ্ বিন্ মাস্ঊদ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

‘‘কোন এলাকায় সুদ ও ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়লে আল্লাহ্ তা‘আলা তখন সে জনপদের জন্য ধ্বংসের অনুমতি দিয়ে দেন’’।

কোন জাতির মধ্যে ব্যভিচারের ব্যাপক প্রচার ও প্রসার তাদের উপর আল্লাহ্ তা‘আলার ব্যাপক আযাব নিপতিত হওয়ার এক বিশেষ কারণ।

আব্দুল্লাহ্ বিন্ মাস্ঊদ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

‘‘কোন জাতির মধ্যে ব্যভিচারের ব্যাপক প্রচার ও প্রসার ঘটলে তারা নিজেরাই যেন হাতে ধরে তাদের উপর আল্লাহ্ তা‘আলার আযাব নিপতিত করলো’’। (সা’হীহুত্ তারগীবি ওয়াত্ তারহীবি, হাদীস ২৪০২)

আমাদের সমাজে জিনাকারী ধরা খেলে
বিয়ে করিয়ে দেওয়ার নিয়ম হয়ে গেছে তবে এটা ইসলামের নিয়ম অমান্য করার সামিল হতে পারে ।  
একদল মুমিন বান্দাদের কর্তব্য এদের শাস্তি সরাসরি করা, এটা মহান আল্লাহ"র আদেশ।    

বিয়ে করিয়ে দিলেই, যে জিনার শাস্তি থেকে বেঁচে যাবে সেটি কোথাও নেইা তাওবা ছাড়া জিনার গুনাহ ক্ষমা যোগ্য নয়। যদি আল্লাহ দয়া করেন সেটি ভিন্ন। জিনার পাপের কথা যখন সবাই জেনে যাবে, তখন দুনিয়ার শাস্তি মাথা পেতে নিয়ে তাওবা করতে হবে। কারন অন্যারা আপনার পাপের সাক্ষী হয়ে গেলে আপনি মাফ কি করে আশা করবেন?

যদি আপনাকে কেউ শাস্তি না দেয়, তাহলে আল্লাহ"র কাছে নিজেকে মৃত ভেবেই ক্ষমা চাইতে হবে। মরন একদিন হবে এই ভয়ে আল্লাহর কাছে নিজের পাপ কে সৃকার করে Towba করতে হবে।

অনুতপ্ত হয়ে, লজ্জিত হয়ে গুনাহের কথা স্বিকার করে আল্লাহর কাছে প্রতিনিয়ত ক্ষমা চাইতে হবেই।
আশা করি উত্তর টা পেয়েছেন।