এটি একটি নতুন Bangla valobashar Golpo in 2022 ( বাংলা ভালোবাসার গল্প ২০২২) বাস্তব কাহিনী। Jisan Vs Shilpi, Real Love Story
হ্যাঁ, আমি জিসান।
আমি কোনো মেয়েকে প্রপুজ করতে পছন্দ করতাম না।
আমি কোনো মেয়েকে প্রপুজ করতে পছন্দ করতাম না।
সময় কাটতো একা একা বাড়িতে আর কলেজে যেতেম না তেমন। ভাবতাম আমি হয়তো কখনো প্রেম করতে পারবো না, কারন আমি মেয়েদের পিছে ঘুর ঘুর করা এবং প্রেম নিবেদন করা অপছন্দ করতাম। কিন্তু ভালোবাসার অনেক ইচ্ছে আমার মধ্যে ছিল।
দেখতে কারু অপছন্দের ছিলাম না। আমি জানতাম মেয়েদের, ভালোবাসি কথাটা না বললে তারা কখনো নিজে থেকে প্রেম নিবেদন করবে না।
কিন্তু কিসের কি, একদিন যা হলো:- সময়টা তখন ১ আগস্ট ২০১৯। ফেসবুক খুলেছিলাম নতুম আইডি। Sumon Sumon নাম থেকে একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট আসলো। আমি Mutual Friends কম দেখে Confrim করিনি। হঠাৎ একদিন রাত ১১টার দিকে একটা মেছেজ আসে। সাথে ভয়েস sms! ভয়েস শুনে তখন বুজতে পারলাম এটা একটা মেয়ে। আমি ভাবলাম এটা সে হয়তো আমার পরিচিত কেউ। কল দিয়ে কথা হলো, আমি সাদা মনে কথা বলা শুরু করলাম। সব কিছু জেনে বুজলাম সে আমাদের জেলার মদ্যেই বাস করে। এবং দুজনের কথা কেমন করে জানি মিলে যায় অনেক কিছুই।
পরের দিন দুই আগস্ট , আমার কাছে সে তখনও মূল্যহীন - বার বার সে আমাকে knock করতে থাকে আমিও response দেই।
২ আগস্ট ২০১৯, এর কিছু আগেই, আমার আম্মু বাড়ি থেকে চলে যায় নানু বাড়ি পারাবারিক সমস্যার কারনে। তখন আমি একা হয়ে পড়ি, শুধু ফোনটি হাতে ছিল।
আমি নিজে রান্না পারি না, তখন আমি এত খুদার্ত ছিলাম যে, নিজে রান্না করার চেষ্টা করেছি। সত্যি বলতে রান্না করেছিলাম অই দিন কিন্তু খাবার মতো ছিল না।
তখন রাতটা ভয় হচ্ছিল ঘুম আসছিলো না।
হঠাৎ করেই সে আমাকে মেছেজ করলো। তার ইমু নাম্বার দিলো। ইমুতে ও কথা হলো।
আমি সকল তথ্য বললাম, সে আমাকে অনেক সাপোর্ট করলো, সে নিজে রান্না করে দিবে এমন আশা, ভারসা দিয়ে রাত টায় আমার মনে খুশি এনে দিলো।
আমার ভালো লাগছিলো তার কথা। কথায় কথায় সে বললো, বিয়ে করে ফেলো তাহলে বউ রান্না করে খাওয়াবে। আমিও বলে ফেললাম আমাকে কে বিয়ে করবে? সে বলে খুজে দেখো,
আমি আবার বললাম তুমি কি বলো, করবে বিয়ে???
সে একটু পরে বলেছিল, সমস্যা নেই তুমাকে বিয়ে করতে।
আমি বললাম কবুল বলো, তখনো আমি কিন্তু অর সাথে মজা করেই কথা বলছি।
তখন সে দুই বার কবুল বলে দিলো, আমি বল্লাম তিন বার বল, সে তিন বারই বললো।
আবার আমাকে বলেছে, তুমিও বলো।
হয়ে গেলো কথায় কথায়। আমি একটু চুপ।
হঠাৎ সে বলে দিল, i love you.
আমি অনেক কিছু জিজ্ঞেস করে তার পর বল্লাম আমিও।
সে সারাটা রাত আমাকে সময় দিতে চেয়েছিল।
আমি অনেক্ক্ষণ তার সঙ পেয়ে কষ্ট কিছুটা দুর করতে পেরেছিলাম।
পরের দিন থেকে শুরু করে সে আমাকে অনেক সময় দিয়েছে, আমি লক্ষ করেছি, আমি ব্যাস্ত হয়ে পড়লে সে আঘাত পেতো, রেগে যেতো। কিন্তু আমি তাকে তখনও মন থেকে চাইনি।
ও অনেক মেছেজ করতো রিল্পে না দিলে রাগ করতো।
আমি বুজিয়ে দিতাম। আসল কারন।
এর পর বেশ কিছু সময় সে আমাকে সময় আমার সাথে ছিলো।
আসল কথা তো বলা হয়নি। তার নাম ছিলো রাইসা, আরেকটি নাম শিল্পী (Raisa & Shilpi) From Lokkhipura সে আমাকে অনেকবার দেখতে চেয়েছিলো আমি চাইনি তখন।
আমি জানতাম, সে আমাকে দেখে অপছন্দ করতো না।
তবু্ও কেন জানি তাকে মন থেকে ভালোবাসিনি তখনো।
তাকে avoid করতাম, সে চাইত যেন তাকে কল করি, কিন্তু আমি তাকে কল করিনি তখন। যে যখন কল করে আমাকে না পেতো, আমার মন খারাপ হতো না।
হঠাৎ একদিন তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়।
আমি খুব সহজে তাকে ভুলে যেতে পেরেছিলাম।
যখন ভুলে গেছি, এর ঠিক ২৫ দিন পর সে আবার আমাকে knock করে ফেসবুকে মেছেজ করে, সব জায়গাতে। আমার সাথে নাকি কথা আছে।
আমি ফোন দেই তখন, জানতে চাই কি বলবা, সে বলে কেমন আছ! আমি বলি ভালই কেনো খবর নিচ্ছো।
সে বলে তুমি না নিলেও নিলে আমি নিতেই পারি।
সে তেমন কোন কথা বলেনি, তাই আমি আরু বিরক্ত ফিল করেছিলাম।
আর তাকে সরন করবো না, ভেবে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই।
এর ঠিক আরও এক মাস পড়ে রাইসা আমাকে কল করে, তখন থেকে তার ফোনে নেটওয়ার্ক প্রবলেম ছিল।
কথা বুঝাতে পারতাম না, বুজতে ও পারতাম না।
মন দিতে পারিনি তখনও, মন দেইনি। এমনিতেই কথা বলে যেতাম, তবে আমার ইচ্ছে ছিলো সে যদি আমাকে গভির ভাবে চায়, মন দিয়ে ভালোবাসবো।
এরপর থেকে তার সাথে অনেকদিন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি, সে আমাকে চায়না ভেবে, বিরত থেকেছি।
অনেক দিন পর হঠাৎ করে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের দিকে, সে আমাকে মেছেজ করে কেমন আছো, জান আমাকে কি ভুলে গেছো। তখন আমি এই দিন রিপ্লে দেইনি।
পরের দিন বিকেলে আমি তাকে ফোন করি, তখন কেমন জানি তার প্রতি মায়া হচ্ছিল।
আমি মন থেকে বেশ কয়েকটি কথা তখন বলতে পেরেছিলাম।
আমি তখন বাজারে ছিলাম।
তাই তাকে বলি, বাড়ি গিয়ে ফোন দিবো। আমি লক্ষ করেছিলার অর কথার মধ্যে এমন যে, একটা মানুষ দীর্ঘদিন পানি পান না করে থাকলে যেমন, সহজ হয় পিপাসু হয়। ঠিক তেমনি সে আমার সাথে কথা বলেছিলো, যা আমার অনেক ভালো লেগে গিয়েছিল।
সুন্দর ভাবে কথা শেষ করে আমি অনেক খুশি ছিলাম।
বাড়ি ফেরার পথে সে, সে কয়েকটি SMS করেছিলো।
যত্ন সহকারে বলেছিলো, সাবধানে বাড়িতে যাও।
বাড়ি গিয়ে ফোন দিও।
অনেক ভালো লেগেছিল। আমি তখন থেকে অকে মন দিয়ে ফেলেছিলাম, এটা আমার মন জানে।
তার অনুপস্তিথি আমাকে কষ্ট দিতো।
আমি বুজরে পেরেছিলাম ভালোবাসায় পড়ে গেছি
সে আমাকে নেটওয়ার্ক প্রবলেম দেখাতো, এটা সত্যি ছিল আমি মেনে নিতে পারতাম না। আমার রাগ হতো তার জন্য। তার সাথে কথা বলতে না পারলে। সে বুঝত আমি রাগি, বুজত না যে কতটা ভালোবেসে ফেলেছি। কারন এর আগে আমি তাকে ছেড়ে দিয়েছিলাম বেশ কয়েকবার। তাই হয়তো সে ভাবত এটা আমি পারবে। বা আমার ভালোবাসায় জোর নেই।
আসলে অর ভাবনা টা ভুল ছিল।
আমি রাগের কারনে অনেক কিছু বলিনি তাকে।
আমার মনটা এখনো এই রাইসার জন্য। কান্না করতে থাকে। এই ভালোবাসায় কোন পাপ ছিল না।
হঠাৎ একদিন রাইসা আমাকে বলতে থাকে তার ইমু যেন ব্লক করে দেই, এবং কল না করি, আমি কিছু বুজে উঠার আগেই, সে অনে গুলা মেছেজ দিতে থাকে।
বলছিলো৷ অর ইমু নাকি অর দুলা ভাই নিয়ে গেছে।
তখন আমি বুজতে পারি হয়তবা।
কিন্তু ওর বার বার বলা কথা, আমি রাখিনি।
কারন সত্য টা জানতে চেয়েছিলাম।
কিছুক্ষণ পর রাইসা বা শিল্পী আমাকে কল করে আমি তখন ইসলামের ইতিহাস বই পাঠ করতে ছিলাম।
ওর মতো আমিও ব্যাস্ততা দেখাই।
ও বলেছিল জরুরি কথা আছে।
আমি তখন, একটু সময় চাই।
আধা ঘণ্টা পর তাকে কল করি বুজতে পারি সে সমস্যায় রয়েছে।
সে বলেছে কিছুটা পরে কল করতে। কিছুক্ষণ পড়ে কল করি।
একটু কথা বলতেই, কেটে গেলে আবার সে কল করে বলেছে পড়ে কথা বলবে। আমি ও অপেক্ষায় থাকি। এর কিছু পর, রাব্বি নামের কেউ ফেইক ইমু থেকে আমাকে কল করে, এবং সাথে নেয় রাইসা কে। রাব্বি বিস্তারিত বলছিলো আমাকে, আমি রাইসার কয়েকটি কথা শুনতে পেয়েছিলাম, তখন আমি অবাক হয়েছি।
হয়তো রাইসা বা শিল্পী আমার কথা শুনেছিল।
সে আমাকে রাখতে চেয়েছিল ঠিকই কিন্তু তার একাধিক সম্পর্কের কথা জেনে গেছি, সে এটা ভেবে আমাকে কয়েকটা মেছেজ করেছিলো।
যে, সামনের বুধবার আমার বিয়ে!
আমার জন্য দু"আ করো।
এই মেছেজ দেখে কেন জানি, আমার চোখে পানি চলে আসে, এটা আমি জানিনা, বিধাতা জানে এগুলো কিসের পানি ছিলো।
আমি তাকে কখনোই ভুলতে পারবো না।
সে হয়তো অন্যায় করেছে বলে আমাকে ভুলে যাবে, কিন্তু আমি তার সাথে অন্যায় করিনি। তাই আজও ভুলতে পারিনি।
রাব্বি আমাকে বলেছিলো, অনেক কিছু এর মধ্যে কিছু পিক, ভিডিও দেখে আমি কান্না ছাড়া কিছুই করতে পারিনি।
মেয়েটা আমাকে ডেকে নিয়ে এতো কষ্ট দিবে তা কল্পনা করতে কষ্ট হচ্ছিলো।
আজও তার কথা মনে হলে বুকর মধ্যে কেমন জানি করে উঠে।
সে হয়তো আর আমার কাছে থাকবে না, আমার ভালোবাসা তার জন্য রয়ে যাবে সারাজীবন।
সে জানে আমার জিবনের ইচ্ছা, রইসা জানে আমি, কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি একজন সৎ ব্লগার হতে চাই, এবং প্রতিষ্ঠিত হয়ে মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই তাও সে জানে।
সব কিছুই জেনে সে আমাকে কষ্ট উপহার দিয়েছে চলে গেছে আমার অজানা কোন গন্তব্যে।
এই বাস্তব (Bangla Real Life Story) গল্পে আমি সকল দুঃখ আনন্দ বুজিয়ে, সাজিয়ে লিখতে পারিনি।
তবে এটা আমার জিবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা ভালোবাসার বাস্তব গল্প বা কাহিনি, যা ২০১৯ - ২০২০ পর্যন্ত আমার জিবনের ইতিহাস হয়ে রয়ে যাবে।
দেখতে কারু অপছন্দের ছিলাম না। আমি জানতাম মেয়েদের, ভালোবাসি কথাটা না বললে তারা কখনো নিজে থেকে প্রেম নিবেদন করবে না।
কিন্তু কিসের কি, একদিন যা হলো:- সময়টা তখন ১ আগস্ট ২০১৯। ফেসবুক খুলেছিলাম নতুম আইডি। Sumon Sumon নাম থেকে একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট আসলো। আমি Mutual Friends কম দেখে Confrim করিনি। হঠাৎ একদিন রাত ১১টার দিকে একটা মেছেজ আসে। সাথে ভয়েস sms! ভয়েস শুনে তখন বুজতে পারলাম এটা একটা মেয়ে। আমি ভাবলাম এটা সে হয়তো আমার পরিচিত কেউ। কল দিয়ে কথা হলো, আমি সাদা মনে কথা বলা শুরু করলাম। সব কিছু জেনে বুজলাম সে আমাদের জেলার মদ্যেই বাস করে। এবং দুজনের কথা কেমন করে জানি মিলে যায় অনেক কিছুই।
পরের দিন দুই আগস্ট , আমার কাছে সে তখনও মূল্যহীন - বার বার সে আমাকে knock করতে থাকে আমিও response দেই।
২ আগস্ট ২০১৯, এর কিছু আগেই, আমার আম্মু বাড়ি থেকে চলে যায় নানু বাড়ি পারাবারিক সমস্যার কারনে। তখন আমি একা হয়ে পড়ি, শুধু ফোনটি হাতে ছিল।
আমি নিজে রান্না পারি না, তখন আমি এত খুদার্ত ছিলাম যে, নিজে রান্না করার চেষ্টা করেছি। সত্যি বলতে রান্না করেছিলাম অই দিন কিন্তু খাবার মতো ছিল না।
তখন রাতটা ভয় হচ্ছিল ঘুম আসছিলো না।
হঠাৎ করেই সে আমাকে মেছেজ করলো। তার ইমু নাম্বার দিলো। ইমুতে ও কথা হলো।
আমি সকল তথ্য বললাম, সে আমাকে অনেক সাপোর্ট করলো, সে নিজে রান্না করে দিবে এমন আশা, ভারসা দিয়ে রাত টায় আমার মনে খুশি এনে দিলো।
আমার ভালো লাগছিলো তার কথা। কথায় কথায় সে বললো, বিয়ে করে ফেলো তাহলে বউ রান্না করে খাওয়াবে। আমিও বলে ফেললাম আমাকে কে বিয়ে করবে? সে বলে খুজে দেখো,
আমি আবার বললাম তুমি কি বলো, করবে বিয়ে???
সে একটু পরে বলেছিল, সমস্যা নেই তুমাকে বিয়ে করতে।
আমি বললাম কবুল বলো, তখনো আমি কিন্তু অর সাথে মজা করেই কথা বলছি।
তখন সে দুই বার কবুল বলে দিলো, আমি বল্লাম তিন বার বল, সে তিন বারই বললো।
আবার আমাকে বলেছে, তুমিও বলো।
হয়ে গেলো কথায় কথায়। আমি একটু চুপ।
হঠাৎ সে বলে দিল, i love you.
আমি অনেক কিছু জিজ্ঞেস করে তার পর বল্লাম আমিও।
সে সারাটা রাত আমাকে সময় দিতে চেয়েছিল।
আমি অনেক্ক্ষণ তার সঙ পেয়ে কষ্ট কিছুটা দুর করতে পেরেছিলাম।
পরের দিন থেকে শুরু করে সে আমাকে অনেক সময় দিয়েছে, আমি লক্ষ করেছি, আমি ব্যাস্ত হয়ে পড়লে সে আঘাত পেতো, রেগে যেতো। কিন্তু আমি তাকে তখনও মন থেকে চাইনি।
ও অনেক মেছেজ করতো রিল্পে না দিলে রাগ করতো।
আমি বুজিয়ে দিতাম। আসল কারন।
এর পর বেশ কিছু সময় সে আমাকে সময় আমার সাথে ছিলো।
আসল কথা তো বলা হয়নি। তার নাম ছিলো রাইসা, আরেকটি নাম শিল্পী (Raisa & Shilpi) From Lokkhipura সে আমাকে অনেকবার দেখতে চেয়েছিলো আমি চাইনি তখন।
আমি জানতাম, সে আমাকে দেখে অপছন্দ করতো না।
তবু্ও কেন জানি তাকে মন থেকে ভালোবাসিনি তখনো।
তাকে avoid করতাম, সে চাইত যেন তাকে কল করি, কিন্তু আমি তাকে কল করিনি তখন। যে যখন কল করে আমাকে না পেতো, আমার মন খারাপ হতো না।
হঠাৎ একদিন তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়।
আমি খুব সহজে তাকে ভুলে যেতে পেরেছিলাম।
যখন ভুলে গেছি, এর ঠিক ২৫ দিন পর সে আবার আমাকে knock করে ফেসবুকে মেছেজ করে, সব জায়গাতে। আমার সাথে নাকি কথা আছে।
আমি ফোন দেই তখন, জানতে চাই কি বলবা, সে বলে কেমন আছ! আমি বলি ভালই কেনো খবর নিচ্ছো।
সে বলে তুমি না নিলেও নিলে আমি নিতেই পারি।
সে তেমন কোন কথা বলেনি, তাই আমি আরু বিরক্ত ফিল করেছিলাম।
আর তাকে সরন করবো না, ভেবে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই।
এর ঠিক আরও এক মাস পড়ে রাইসা আমাকে কল করে, তখন থেকে তার ফোনে নেটওয়ার্ক প্রবলেম ছিল।
কথা বুঝাতে পারতাম না, বুজতে ও পারতাম না।
মন দিতে পারিনি তখনও, মন দেইনি। এমনিতেই কথা বলে যেতাম, তবে আমার ইচ্ছে ছিলো সে যদি আমাকে গভির ভাবে চায়, মন দিয়ে ভালোবাসবো।
এরপর থেকে তার সাথে অনেকদিন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি, সে আমাকে চায়না ভেবে, বিরত থেকেছি।
অনেক দিন পর হঠাৎ করে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের দিকে, সে আমাকে মেছেজ করে কেমন আছো, জান আমাকে কি ভুলে গেছো। তখন আমি এই দিন রিপ্লে দেইনি।
পরের দিন বিকেলে আমি তাকে ফোন করি, তখন কেমন জানি তার প্রতি মায়া হচ্ছিল।
আমি মন থেকে বেশ কয়েকটি কথা তখন বলতে পেরেছিলাম।
আমি তখন বাজারে ছিলাম।
তাই তাকে বলি, বাড়ি গিয়ে ফোন দিবো। আমি লক্ষ করেছিলার অর কথার মধ্যে এমন যে, একটা মানুষ দীর্ঘদিন পানি পান না করে থাকলে যেমন, সহজ হয় পিপাসু হয়। ঠিক তেমনি সে আমার সাথে কথা বলেছিলো, যা আমার অনেক ভালো লেগে গিয়েছিল।
সুন্দর ভাবে কথা শেষ করে আমি অনেক খুশি ছিলাম।
বাড়ি ফেরার পথে সে, সে কয়েকটি SMS করেছিলো।
যত্ন সহকারে বলেছিলো, সাবধানে বাড়িতে যাও।
বাড়ি গিয়ে ফোন দিও।
অনেক ভালো লেগেছিল। আমি তখন থেকে অকে মন দিয়ে ফেলেছিলাম, এটা আমার মন জানে।
তার অনুপস্তিথি আমাকে কষ্ট দিতো।
আমি বুজরে পেরেছিলাম ভালোবাসায় পড়ে গেছি
সে আমাকে নেটওয়ার্ক প্রবলেম দেখাতো, এটা সত্যি ছিল আমি মেনে নিতে পারতাম না। আমার রাগ হতো তার জন্য। তার সাথে কথা বলতে না পারলে। সে বুঝত আমি রাগি, বুজত না যে কতটা ভালোবেসে ফেলেছি। কারন এর আগে আমি তাকে ছেড়ে দিয়েছিলাম বেশ কয়েকবার। তাই হয়তো সে ভাবত এটা আমি পারবে। বা আমার ভালোবাসায় জোর নেই।
আসলে অর ভাবনা টা ভুল ছিল।
আমি রাগের কারনে অনেক কিছু বলিনি তাকে।
আমার মনটা এখনো এই রাইসার জন্য। কান্না করতে থাকে। এই ভালোবাসায় কোন পাপ ছিল না।
হঠাৎ একদিন রাইসা আমাকে বলতে থাকে তার ইমু যেন ব্লক করে দেই, এবং কল না করি, আমি কিছু বুজে উঠার আগেই, সে অনে গুলা মেছেজ দিতে থাকে।
বলছিলো৷ অর ইমু নাকি অর দুলা ভাই নিয়ে গেছে।
তখন আমি বুজতে পারি হয়তবা।
কিন্তু ওর বার বার বলা কথা, আমি রাখিনি।
কারন সত্য টা জানতে চেয়েছিলাম।
কিছুক্ষণ পর রাইসা বা শিল্পী আমাকে কল করে আমি তখন ইসলামের ইতিহাস বই পাঠ করতে ছিলাম।
ওর মতো আমিও ব্যাস্ততা দেখাই।
ও বলেছিল জরুরি কথা আছে।
আমি তখন, একটু সময় চাই।
আধা ঘণ্টা পর তাকে কল করি বুজতে পারি সে সমস্যায় রয়েছে।
সে বলেছে কিছুটা পরে কল করতে। কিছুক্ষণ পড়ে কল করি।
একটু কথা বলতেই, কেটে গেলে আবার সে কল করে বলেছে পড়ে কথা বলবে। আমি ও অপেক্ষায় থাকি। এর কিছু পর, রাব্বি নামের কেউ ফেইক ইমু থেকে আমাকে কল করে, এবং সাথে নেয় রাইসা কে। রাব্বি বিস্তারিত বলছিলো আমাকে, আমি রাইসার কয়েকটি কথা শুনতে পেয়েছিলাম, তখন আমি অবাক হয়েছি।
হয়তো রাইসা বা শিল্পী আমার কথা শুনেছিল।
সে আমাকে রাখতে চেয়েছিল ঠিকই কিন্তু তার একাধিক সম্পর্কের কথা জেনে গেছি, সে এটা ভেবে আমাকে কয়েকটা মেছেজ করেছিলো।
যে, সামনের বুধবার আমার বিয়ে!
আমার জন্য দু"আ করো।
এই মেছেজ দেখে কেন জানি, আমার চোখে পানি চলে আসে, এটা আমি জানিনা, বিধাতা জানে এগুলো কিসের পানি ছিলো।
আমি তাকে কখনোই ভুলতে পারবো না।
সে হয়তো অন্যায় করেছে বলে আমাকে ভুলে যাবে, কিন্তু আমি তার সাথে অন্যায় করিনি। তাই আজও ভুলতে পারিনি।
রাব্বি আমাকে বলেছিলো, অনেক কিছু এর মধ্যে কিছু পিক, ভিডিও দেখে আমি কান্না ছাড়া কিছুই করতে পারিনি।
মেয়েটা আমাকে ডেকে নিয়ে এতো কষ্ট দিবে তা কল্পনা করতে কষ্ট হচ্ছিলো।
আজও তার কথা মনে হলে বুকর মধ্যে কেমন জানি করে উঠে।
সে হয়তো আর আমার কাছে থাকবে না, আমার ভালোবাসা তার জন্য রয়ে যাবে সারাজীবন।
সে জানে আমার জিবনের ইচ্ছা, রইসা জানে আমি, কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি একজন সৎ ব্লগার হতে চাই, এবং প্রতিষ্ঠিত হয়ে মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই তাও সে জানে।
সব কিছুই জেনে সে আমাকে কষ্ট উপহার দিয়েছে চলে গেছে আমার অজানা কোন গন্তব্যে।
এই বাস্তব (Bangla Real Life Story) গল্পে আমি সকল দুঃখ আনন্দ বুজিয়ে, সাজিয়ে লিখতে পারিনি।
তবে এটা আমার জিবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা ভালোবাসার বাস্তব গল্প বা কাহিনি, যা ২০১৯ - ২০২০ পর্যন্ত আমার জিবনের ইতিহাস হয়ে রয়ে যাবে।
ভালো কাজের সাথে বেচে থাকতে চাই।
আল্লাহ সঠিক পথ দেখিয়ে দিন।
শেষ করছি।
It’s not a song lyrics it is a Real love story for my life.
♥♥♥ মোট কথাাঃ- ♥ রাইসা মেম..... এখনো ভুলতে পারিনা তাকে। মনে করেছিলাম ভুলে যেতে পারবো। কিন্তু সে আমাকে এমন ভরসা দিয়েছিলো, যে হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।
সে নিজেকে ভুল রাস্তায় রেখে আমাকে চেয়েছে।
সে জানেনা আমার সময় খারাপ কাটবে। সময় কাটানোর জন্য সে রুপ ধারন করেছিলো।
সে ছিল লক্ষীপুরের একটা মেয়ে। আমি ছিলাম ঢাকার একটা ছেলে। সে কোথায় থাকে ভাবিনি শুধু ভেবেছিলাম সত্যি ভালোবেসে ফেলেছি। অনেক সপ্ন আমাকে নিয়ে তৈরি করেছিলো সে! আমি সেই সপ্ন দেখেছিলাম।
আমি এতো লাভ কাউকে করিনি। ভাবিনি তাকে এতো ভালোবাসবো। কিন্তু সে আমার হৃদয় ভেঙ্গে চুরমার করেছে। আমাকে ছেড়ে অন্য কারু সাথে সন্ধি করেছে। অধিক সময়ে এসেছিল আমার জিবনে কিন্তু আমায় মায়া হতেই সে পল্টি দিলো।
এখনো তার কথা মনে পড়ে কারন একটা ভালোবাসা।।।।।।।।