এক জিবনের ভালোবাসার গল্প | প্রেমের করুণ কাহিনী | নতুন গল্প - Notun Valobashar golpo 2022 in Bangla.
👉 একটি অপ্রকাশিত ভালোবাসার গল্প - বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া প্রেমের গল্প।
love story |
আজকের ব্লগটি একটি বাস্তব ভালোবাসার প্রেমের গল্প দিয়ে সাজানো, পড়ে শিক্ষা নিতে পারেন অনেকেই।
অপ্রকাশিত প্রেম আর ভালোবাসার গল্প ইতিহাসের পাতায় না থাকুক, তবে BDRong99 ব্লগ থেকে মুছে যাবে না!
তবে আমার মধ্যে সবসময় মেয়েদের সাথে কথা বলার ইচ্ছে কাজ করতো, কিন্তু তা লজ্জার কারণে সম্ভব হয়ে উঠেনি । তবুও মন তো আর থেমে থাকতে চায় না। সারারাত কল্পনা জল্পনা করে, লজ্জা ভুলে গিয়ে প্রেম নিবেদন শুরু করা প্রয়োজন।
ভুতের গল্পঃ এখানে পড়ুন
আসলে, বাস্তবে তা এতোটাই কঠিন লাগতো যে, মুখ দিয়ে কথাই আসে না। কিন্তু প্রেম ভরা মন শুনেনা বারন। অপেক্ষায় ছিলাম, কেউ প্রেমের জন্য হয়তো নিজেই ছুটে আসবে। কিন্তু অনেক সময় অতিবাহিত হল, কেউ আসেনি। মনে হয় ছেলেরা কিছু না চাইলে পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
যখন ক্লাস টেনে পড়ি, তখন একজন মেয়েকে খুবই ভালো লেগে যায়। যার সাথে আমি ক্লাস ১ থেকে ৫ পর্যন্ত পড়ে আসছি... সিক্স এ উঠার পর ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে ভর্তি হলাম। তবে কাছাকাছি স্কুল ছিল। এক সাথে কোচিং করতাম, একটা সময় আমার বন্ধুরা বুজে ফেলে আমার মনের রানীর কথা। তাতে কি হয়েছে তারা তো আমার বন্ধু।
সুলতান ফারিয়া খান, যাকে দেখলেই মুগ্ধ হয়ে যেতাম। ভিষন ভাবনা ছিল তাকে নিয়ে, একটা পবিত্র ভালোবাসা অনুভব করতাম, ফারিয়া সুলতানা কে নিয়ে। সে আমাকে ভালো ভাবেই চিনে, শুধু জানে না মনের মধ্যে কতটুকু জায়গা ছিল তার জন্য। আসলে আমি তাকে জানাতে পারিনি।
অপ্রকাশিত প্রেম আর ভালোবাসার গল্প ইতিহাসের পাতায় না থাকুক, তবে BDRong99 ব্লগ থেকে মুছে যাবে না!
তাহলে নিজের মতো করে আজকের গল্প শুরু করা যাক,
অপ্রকাশিত ভালোবাসা
মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন লাজুক মানব সন্তান, আমি সুলতান মিজান খান। ছোট বেলায় কখনোই লাজুক ছিলাম না যখন বুজের হলাম, ভালোবাসা কি জানলাম, প্রেমের চাহিদা যখন শরিরে অনুভব করলাম, তখন থেকেই অনেক লাজুক হয়ে গেলাম। মেয়েদের দেখলেই লজ্জায় চোখ বন্ধ হয়ে আসা আমি সুলতান মিজান খান।তবে আমার মধ্যে সবসময় মেয়েদের সাথে কথা বলার ইচ্ছে কাজ করতো, কিন্তু তা লজ্জার কারণে সম্ভব হয়ে উঠেনি । তবুও মন তো আর থেমে থাকতে চায় না। সারারাত কল্পনা জল্পনা করে, লজ্জা ভুলে গিয়ে প্রেম নিবেদন শুরু করা প্রয়োজন।
ভুতের গল্পঃ এখানে পড়ুন
আসলে, বাস্তবে তা এতোটাই কঠিন লাগতো যে, মুখ দিয়ে কথাই আসে না। কিন্তু প্রেম ভরা মন শুনেনা বারন। অপেক্ষায় ছিলাম, কেউ প্রেমের জন্য হয়তো নিজেই ছুটে আসবে। কিন্তু অনেক সময় অতিবাহিত হল, কেউ আসেনি। মনে হয় ছেলেরা কিছু না চাইলে পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
যখন ক্লাস টেনে পড়ি, তখন একজন মেয়েকে খুবই ভালো লেগে যায়। যার সাথে আমি ক্লাস ১ থেকে ৫ পর্যন্ত পড়ে আসছি... সিক্স এ উঠার পর ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে ভর্তি হলাম। তবে কাছাকাছি স্কুল ছিল। এক সাথে কোচিং করতাম, একটা সময় আমার বন্ধুরা বুজে ফেলে আমার মনের রানীর কথা। তাতে কি হয়েছে তারা তো আমার বন্ধু।
সুলতান ফারিয়া খান, যাকে দেখলেই মুগ্ধ হয়ে যেতাম। ভিষন ভাবনা ছিল তাকে নিয়ে, একটা পবিত্র ভালোবাসা অনুভব করতাম, ফারিয়া সুলতানা কে নিয়ে। সে আমাকে ভালো ভাবেই চিনে, শুধু জানে না মনের মধ্যে কতটুকু জায়গা ছিল তার জন্য। আসলে আমি তাকে জানাতে পারিনি।
জানিনা এটা বুকামি ছিল কি না, কিন্তু লজ্জা আর ফিরিয়ে দেওয়ার ভয় থেকে, তাকে প্রপুজ করতে পারিনি। বন্ধুরা বলেছিল, প্রপুজ করে ফেল। কিন্তু আমি পারিনি। হঠাৎ একদিন স্কুলে অনুষ্ঠান হলো, মনে রাখা ভালো আমি সব সময় দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম বা ২য় হতাম।
তো সেই দিন, আমাদের স্কুলে, ফারিয়া সুলতানা সহ, অনেকেই উপস্তিত ছিল। দৌড় প্রতিযোগিতায় আমি, লাইলে দাড়ালাম। এই প্রতিযোগিতায় আমাকেই সব চেয়ে বেশি চিনেন, ফারিয়া সুলতানা। আমি তাকে লক্ষ করেছিলাম। সে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল, মনে হচ্ছিল এখানে সে আমাকে ছাড়া আর কাউকে সাপোর্ট করে না। আসলে তাই, সার এর বাশির ফু এর জন্য অপেক্ষ আমি প্রস্তুত। ফু দেওয়ার সাথে সাথেই দৌড় এ আমি এগিয়ে যাই লক্ষ করলাম আমার সামনে আর কেউ নেই, সবাই পিছনে । তখন আমি দৌড়ের স্পিড এতো বেশি বাড়াতে পেরেছিলাম যে, অনেক পিছনে ছিল বাকি সবাই। আমি লক্ষ করলাম অনেকেই করতালি দিচ্ছে। কিন্তু ফারিয়া সুলতানা কে দেখতে পাচ্ছিলাম না।
হঠাৎ লক্ষ করলাম ফারিয়া সুলতানা আমাকে উৎসাহ দিচ্ছে এটা দেখে আমি, এতো খুশি ছিলাম যে, প্রকাশ করার ভাষা পাচ্ছি না।
দৌড় শেষ হলো প্রথম হলাম, পুরস্কার বিতরণী তে আমার নাম আসল, ফারিয়া সুলতানা এখানেই ছিল, ভিষন খুশি সে। সে আমার সাথে কথা বলতে চাইল, কিন্তু আমার বন্ধুর কারনে হয়ে উঠেনি। এর পরও একটু কথা বলেছিলাম।
এভাবে চলে গেল অনেক দিন।
কলেজ লাইফ শুরু হলো, কিন্তু আজও আমি মনের ভাব প্রকাশ করতে পারিনি। আসলে এটা আমাকে দিয়ে হবে না। মনে হতো, ফারিয়া সুলতানা আমাকে ভালো মানুষ হিসেবেই চিনে। আমার প্রসংশা করতো, কারন আমি ছিলাম অন্য সকল বন্ধুদের থেকে আলাদা। আরু অনেক দেখেছি, ফারিয়া সুলতানা আমার সাপোর্ট করতো।
কিন্তু আমি পারিনি, মনের কথা প্রকাশ করতে।
এভাবেই চলে গেলো আরু কিছু বছর। মনে হয়, ফারিয়া সুলতানা, হারিয়ে যাবে। সত্যিই হারিয়ে গিয়েছিল। তখন কলেজের ২য় ইয়ার এ পড়ি। হঠাৎ জানতে পারি, ফারিয়া সুলতানা অন্য একজনের সাথে প্রেমে জরিয়েছে, কিছু দিন পর তাদের বিয়ে হয়ে যায়। মনের মধ্যে একটা প্রকাশ না করা, শব্দ আমাকে কষ্ট দিচ্ছিলো। মনে হচ্ছিল আমি, প্রকাশ না করে যা হারিয়েছি তা যদি প্রকাশ করেই হারাতাম, তাহলে বুঝি আর আক্ষেপ ছিল না।
এখন বুঝতে পারি, প্রকাশ না করা প্রেম, গিলে খেতে না পারার মতোই! যার গলে মরন অবধারিত। এরপর, ২য় প্রেম এমনিতেই এসেছে, কিন্তু মন তো সেই প্রথম প্রেমেই অন্ধ রয়েছে। আর কোন প্রেম আমার জন্য উপযুক্ত নয়। যাকে হারিয়েছি। সে মনের মধ্যে ছবি হয়ে গেছে। আমি আজও তাকে সপ্নে দেখতে পাই। ঘুম থেকে উঠে ভাবি, সে তো অন্যের বউ। জানি তার একটা বাচ্চাও রয়েছে।
তবে আমি কেন তাকে সপ্নে দেখি। হ্যাঁ তাকে আমি ভুলে গেছি। কিন্তু মনের কোনে একটা বাসা তার জন্য আমরন বুকিং হয়ে গেছে।
গল্পটি মিজান খান এর জীবন থেকে নেওয়া একটি বাস্তব হারিয়ে যাওয়া প্রেমের কাহিনী! ভালোবাসার গল্পটি লিখেছেন মিজান খান নিজেই।